পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনকারীর জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব। এ
সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে,
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا اَنَّهكَانَ يُحَدِّثُ ذَاتَ يَوْمٍ فِىْ بَيْتِه وَقَائِعَ وِلادَتِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمٍ ، فَيَسْتَبْشِرُوْنَ وَيُحَمِّدُوْنَ اللهَ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَلَّتْ لَكُمْ شَفَاعَتِىْ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ডুত আছে যে, তিনি একদা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার নিজগৃহে ছাহাবীগণকে সমবেত করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (ছলাত-সালাম) পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তথায় উপস্থিত হয়ে পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে দেখে বললেন: “আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব হয়ে গেলো।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন শাফায়াতে কুবরা উনার মালিক। উনার শাফায়াত মুবারক ছাড়া পরকালে নাজাতের কোন উপায় নাই। বান্দা-বান্দী উম্মতের জন্য খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দয়া, দান, ইহসান, ফযল-করম হলো অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ-যা কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত যা দ্বার্ াবান্দা-বান্দী উম্মতের জন্য রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাতের উসীলা, গুনাহ মাফের উসীলা, জান্নাত লাভের উসীলা, জাহান্নাম থেকে পানাহ লাভের উসীলা , খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, তায়াল্লুক-নিসবত, মারিফাত, মুহব্বত ও নৈকট্য হাছিল এবং উনার শাফায়াত লাভের উসীলা। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই যারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবে, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফের তাযীম-তাকরীম করবে, সম্মান করবে, মুহব্বত করবে, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করবে, লোকজন একত্রিত করবে, জায়গা নির্দিষ্ট করবে, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ উনার সম্মানার্থে মাহফিল করবে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফয়ীলত, মর্যাদা-মর্তবার আলোচনা করবে, টাকা পয়সা খরচ করবে, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফের সার্বিক খিদমতে কাজ করবে তাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব হয়ে যাবে।সুবহানাল্লাহ!