বাংলাদেশে জিএমও ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে

বর্তমানে বাংলাদেশে ইহুদী মালিকানাধীন বহুজাতিক নব্য নীলকর কোম্পানিগুলি গোল্ডেন রাইস এবং বিটিবেগুন এর মতো জেনেটিক্যালী মডিফাইড ফুড আমদানী করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে শতকরা ৬৯ ভাগ চাষযোগ্য অনাবাদী জমি রয়ে গিয়েছে। এই জমিগুলি যদি সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে আবাদ করা হয় তবে এমনিতেই প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি ফলন উপহার নিয়ে আসতে পারে। তাহলে কেন নব্য নীলকরেরা বাংলাদেশে নীলচাষের আধুনিক রুপ জি এম ও ফুডের প্রচলন ঘটাতে চাইছে?
জিএম পদ্ধতিতে কোন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জিনকে কোন এক প্রজাতির কোষে প্রবেশ করানোর জন্য ঐ জিনটি ছাড়াও আরো কয়েকটি উপাদানের প্রয়োজন হয়। একটি প্রমোটার বা প্রবর্ধক থাকে, যে মূলত জিন-সুইচ, যার কাজ হলো কোষকে বলা যে- ম্যাসেজ বদহনকারী জিনটিতে যে ধরণের কোডিং সিকোয়েন্স আছে তা যেন কোষটি তৈরি করে। আরেকটি থাকে টার্মিনেটর, যার কাজ হলো জেনেটিক ম্যাসেজের শেষবিন্দু নির্দেশ করা। ম্যাসেজধারী জিনটি আবার বিভিন্ন ডি.এন.এ এর একটি যৌগিক রূপ হতে পারে যাকিনা কৃত্রিমভাবে ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়। ন্যূনতম এই তিনটি জিন নিয়ে যে জেনেটিক বস্তু তৈরি হয় তাকে আবার একটি জিন বাহকের সাথে গাটছাড়া বেঁধে দিয়ে আক্রমনাত্মক পদ্ধতিতে কোষটির মাঝে ঢোকানো হয়। এইভাবে বহিরাগত জিন ঢোকানোর ফল হলো জিনোমের সাথে এর এলোপাথারি অঙ্গীভবন যা পরবর্তিতে অ-অনুমানযোগ্য এলোমেলো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে যার ফল হলো ঐ জিন বহনকারী শস্য, পশু ও মানুষের শরীরে বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা। যার অবশ্যম্ভাবী ফল স্বরুপ বিকালঙ্গতার অভিশাপ বহন করতে হয় জি এম ও খাদ্য গ্রহনকারীদের।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট