দলীল-
√ আনওয়ারুল মাহমুদ-২/৪৪২
√ উরফুশ শাজী-১/৩০৪,
√ আওনুল মা’বুদ-৪/৯৬,
√ তুহফাতুল আহওয়াজী৫/৪১৪,
√ তা’লিকুছ ছবীহ-৪/৩৮৯,
√ মিরকাত-৮/২৫০,
√ জামউল ওয়াসাইল-১/২০৭,
√ খছাইলে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-৯১,
√ আখলাকুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-১৮১
পাগড়ীর শামলা ও তার পরিমাপঃ ইমামাহ বা পাগড়ী বাধার পর পাগড়ীর যে অংশ পিছনে পিঠের উপর ঝুলিয়ে রাখা হয় তাকে শামলা বলে। শামলাসহ পাগড়ী পরা সুন্নত। ইহা ব্যতীত পাগড়ী পরা শিয়া ও শিখদের আলামত। অর্থাৎ শিয়া ও শিখ সম্প্রদায় শামলা ছাড়া পাগড়ী পরে। আর আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মতে, শিয়া ও শিখরা মুসলমান নয়।
পাগড়ীর শামলা হবে এক বিঘত বা অর্ধ হাতের কিছু বেশি এবং এক হাতের কিছু কম। তবে চার আঙ্গুল পরিমাণের কম ও এক হাতের বেশি হওয়া মাকরূহ। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’কাঁধের মাঝামাঝি অর্থাৎ পিঠের উপর ঝুলিয়ে রাখতেন। তবে কখনো কখনো ডান কাধের উপর দিয়ে সামনে রাখতেন। কিন্তু; শামলা বাম কাধের উপর দিয়ে সামনে রাখা বিদয়াত।
দলীল-
√ মুযাহিরে হক্ব-৩/৫৩৪,
√ আশয়াতুল লুময়াত-৩/৫৪৫,
√ আরিদ্বাতল আহওয়াযী-৭/২৪৩,
√ আওনুল মা’বুদ-৪/৯৫,
√ তুহফাতল আহওয়াযী-৫/৪১১,
√ তানযীমুল আশতাত-৪/১৬৭
পাগড়ীর রং : সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণত সাদা, কালো ও সবুজ রংয়ের পাগড়ী মুবারক পরিধান করতেন। সবচেয়ে বেশি পরতেন কালো। সবুজ, কালো রংয়ের তুলনায় একট কম পরতেন। আর সাদা তার চেয়ে আরো কম সময় পরতেন।”
দলীল-
√ মুছান্নিফে ইবনে আবী শাইবাহ৮/২৪১,
√ যরকানী-৬/২৫৭,
√ মুসলিম শরীফ-১/৪৪০,
√ শরহে নববী-৫/১৩৩,
√ শরহুল উবাই ওয়াস সিনসী-৪/৪৬৭,
√ আবু দাউদ শরীফ-২/২০৯,
√ বযলুল মাজহুদ-৬/৫১,
√ আওনুল মা’বদ-৪/৯৫,
√ নাসায়ী শরীফ-২/২০০০,
√ ইবনু মাযাহ-২৬৪,
√ মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল-৪/৩০৭,
পাগড়ীর কতিপয় আদব বা সুন্নত ত্বরীক্বাঃ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম- বলে পাগড়ী পরা সুন্নত।
দলীল-
√ যুরকানী-৬/২০৮
পাগড়ী সুতি কাপড়ের হওয়া সুন্নত। ওযুর সাথে পাগড়ী বাধা সুন্নত। ক্বিবলা মুখী হয়ে দাড়িয়ে পাগড়ী বাঁধা সুন্নত। পাগড়ীর শামলা-এর মাথা মুখে কামড় দিয়ে ধরে পাগড়ী বাধা সুন্নত। টুপির উপর পাগড়ী পরা সুন্নত। মুসলমানগণ টুপির উপর পাগড়ী পরিধান করে। আর মুশরিকরা টুপি ছাড়া পাগড়ী পরিধান করে।
দলীল-
√ মিরকাত-৮/২৫০,
√ জামউল ওয়াসায়িল-১/২০৭,
√ আল মাদখাল- ১/১০৬,
√ হুজ্জাতত্ তাম্মাহ-৫৬,
√ আবু দাউদ শরীফ-২/২০৯,
√ তিরমিযী শরীফ-১/২১০,
√ মিশকাত শরীফ৩৭৪,
পাগড়ী বাধার সময় সিজদার স্থানকে উম্মক্ত রাখা আবশ্যক। কারণ, আমাদের হানাফী মাযহাব মতে পাগড়ীর প্যাঁচের উপর সিজদা করা মাকরূহ। ”
দলীল-
√ মছান্নাফ লি আব্দির রাজ্জাক-১/৪০১
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাগড়ী ই’তিজার করতে নিষেধ করেছেন। ই’তিজার হচ্ছে পাগড়ী গোলাকার করে বেধে মাথার উপরিভাগকে খোলা রাখা। যা মাকরূহের অন্তর্ভক্ত। ”
দলীল-
√ বাদাইউস সানায়ে-১/২১৬,
√ আলমগীরী-১/১০৬,