সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী আশার আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
🌺পবিত্র ইসম বা নাম ও কুনিয়াত মুবারক: সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, বাহরুল ইলম ওয়াল হিকাম, ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ মুহম্মদ হাসান আসকারী আলাইহিস সালাম তিনি আহলু বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম উনার এগারোতম ইমাম। উনার মুবারক ইসম বা নাম হাসান। কেউ কেউ হুসাইন আলাইহিস সালাম বলেও উল্লেখ করেছেন।
🌺সম্মানিত লক্বব বা উপাধি মুবারক: সম্মানিত লক্বব মুবারক হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিশেষ নিয়ামত মুবারক। যার মধ্যে যে গুণ বা বৈশিষ্ট্য প্রাধান্য পায় সাধারণত উনার তদ্রুপ লক্বব মুবারক জাহির বা প্রকাশিত হয়। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী আশার আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের গুণে গুনান্বিত ছিলেন। কাজেই উনার লক্বব মুবারকও জাহির বা প্রকাশ পেয়েছে সেভাবেই। যদি সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া যায় তাহলে মহাগ্রন্থে পরিণত হবে। তবে আমরা স্বল্প পরিসরে তন্মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করছি বরকত লাভের উদ্দেশ্যে।
(১) যকী: বুদ্ধিমান, তীক্ষ্ম ধীশক্তি সম্পন্ন। তিনি ছিলেন সে সময়ে সকলের চেয়ে বেশি ধীশক্তির অধিকারী, অত্যন্ত বুদ্ধিমান। উনার বুদ্ধিমত্তার কাছে সকলেই হার মানতে বাধ্য হতেন। সুবহানাল্লাহ!
(২) খালিছ: অর্থ পবিত্র পরিচ্ছন্ন ও ইখলাছের অধিকারী। তিনি ইখলাছ তথা জাহিরী-বাতিনী উভয় প্রকার পরিশুদ্ধিতার এমন চরম মাক্বামে উপনীত হয়েছিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অত্যন্ত খুশি হয়ে উনাকে খালিছ নামে পরিচিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
(৩) সিরাজ: সুদীপ্ত বাতি। তিনি সীরাত-ছুরাত, আকৃতি-প্রকৃতি সব দিক থেকে এমনই সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন যার ফলশ্রুতিতে সমসাময়িক ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা উনাকে সিরাজ বা সুদীপ্ত বাতী লক্ববে ভূষিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
(৪) আসকারী: নির্ভিক সৈন্যবাহিনী। পবিত্র বিলাদত শরীফ থেকে পবিত্র বিছাল শরীফ পর্যন্ত তিনি দ্বীনের প্রচার-প্রসার কাজে ব্যাপকভাবে ব্যাপৃত ছিলেন। এজন্য তিনি সদা প্রস্তুত থাকতেন। উনার এমন শক্তিমত্তা দেখলে মনে হতো তিনিই যেন একাই একটি বিরাট আকারের সেনা বাহিনী। সুবহানাল্লাহ!
৫) সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন: সকল ইজতিহাদকারীর তিনি ছিলেন সাইয়্যিদ। তদানিন্তন সময়ের সকল ইমাম-মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরামই উনাকে শ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ বলে স্বীকৃতি দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
(৬) ইমামুল আউলিয়া: সকল আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের তিনি ছিলেন ইমাম। সবাই উনার ইমামত গ্রহণ করেছেন। সে সময় কোন ওলী-আল্লাহই উনার সাথে ইখতিলাফ বা দ্বিমত পোষণ করেননি। সবাই উনার ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ লাভের প্রত্যাশি ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও আরো বহু সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন তিনি।
🌺পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, বাহরুল উলূম ওয়াল হিকাম, ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী আশার আলাইহিস সালাম তিনি ২৩১ হিজরী সনের ১০ই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে মু’তাবার বা গ্রহণযোগ্য মত।
🌺পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামলু হাদী আশার আলাইহিস সালাম তিনি ২৬০ হিজরী সনের ৮ই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার পবিত্র বিছালী বা শাহাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি ২৯ বছর দুনিয়াবী হায়াত মুবারক ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
➡️ উক্ত বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উপলক্ষে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে বিশেষ আলোচনা করা হয়েছে ও শাহী ত্ববারুক উনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
Come without delay to the sacred Rajarbag Dorbar Shareef and participate in the special mahfil.