আইয়্যামুল্লাহ শরীফ কেন পালন করব?


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللَّهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّار شَكُورٍ
অর্থ: আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদেরকে খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা বিশেষ দিবসসমূহের কথা জানিয়ে দিন। নিশ্চয়ই যারা ছবরকারী ও শোকরগুজার বান্দা তাদের জন্য এই পবিত্র দিবসসমূহের মধ্যে নিদর্শন মুবারক রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সূরা ইব্রাহীম শরীফ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন সমূহ পালন করা কতটুকু জরুরী। সেটা উল্লেখ করতে গিয়ে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবরক গ্রহণ করেন, তখন তিনি দেখতে পেলেন ইহুদীরা রোযা রেখেছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কোন দিন? যেদিনে তোমরা রোযা রেখেছ? তখন ইহুদীরা বলল, এইদিনে যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে এবং উনার ক্বওমকে লোহিত সাগর পার করে মুক্তি দান করেছিলেন। আর ফিরাউন ও তার ক্বওমকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ! সেই দিনকে স্মরণ করে শুকরিয়া আদায়ের জন্য রোযা রেখে থাকি। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বেশি হকদার তোমাদের থেকে। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে রোযা রাখলেন এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে রোযা রাখার নির্দেশ মুবারক দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত। আর উক্ত ঘটনার পনের শত বছর পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উক্ত দিনে রোযা রেখে উম্মতকে আইয়্যামুল্লাহ শরীফ পালন করার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করলে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সৃষ্টি হতেন না। তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে উম্মতকে কতটা খুশি প্রকাশ করতে হবে সেটা চিন্তা ফিকিরের বিষয়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ শক্তি সামর্থ্য দিয়ে অনন্তকালব্যাপী খুশি প্রকাশ করতে হবে। তাইতো প্রাণের আঁক্বা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জারী করেছেন অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল। সুবহানাল্লাহ! ১২ই শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফসহ যত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ রয়েছেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিবসগুলি যারা যথাযথ মর্যাদায় পালন করবে উনাদের জন্য রয়েছে সম্মানিত জান্নাত উনার সুসংবাদ। সুবহানাল্লাহ! অপরদিকে যারা এই নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে অস্বীকার করবে এবং মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে তাদের পরিণাম সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
অর্থ: নিশ্চয়ই যারা আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করে, অচিরেই আমি তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো। তাদের চামড়াগুলো যখন পুড়ে যাবে তখন আবার আমি তা অন্য চামড়া দিয়ে পরিবর্তন করে দিব। যাতে করে তারা শাস্তি আস্বাদন করতে পারে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী। (পবিত্র সূরা নিগ্র্রা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রতি ঘণ্টায় সত্তর হাজার বার এই চামড়া পোড়ানো হবে । নাঊযূবিল্লাহ! খলিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! আমীন!! আমীন!!!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট