সরকার যদি দেশের শিক্ষা কারিকুলাম বা সিলেবাস পরিবর্তন করতে চায় তাহলে সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে দ্বীনী ইলম উনাকে গুরুত্ব ও প্রাধান্য দেয়া। অর্থাৎ ছহীহ আক্বীদা ও আমলের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জীবনী মুবারকসহ ছহীহ আক্বীদা ও ছহীহ দ্বীনী শিক্ষা অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা।
মাওলানা জিয়াউলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মুহম্মদ আরিফুর রহমান নামের এক ব্যক্তি আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাওলানা জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আরজিতে বাদী দাবি করেছেন, গত ২৯ নভেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে মাওলানা জিয়াউল হাসান ইসলাম নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা দেন।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ-ই ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফফ্রান্সের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধসহ দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান -হবিগঞ্জ জেলা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ-ই মহাপবিত্র ও মহা সম্মানিত ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ। যা মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মূল তারিখ। তাই মহাপবিত্র ও মহা সম্মানিত ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ হাক্বীকীভাবে ব্যাপক জওক-শওক ও মহাসমারোহে পালনের মাঝেই দেশ ও জনগণের সর্বপ্রকার কামিয়াবি ও উন্নতী নিহিত। পাশাপাশি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর মৃত্যুদন্ডের শাস্তি জারীর পাশাপাশি ফরাসী প্রেসিডেন্টের চরম দৃষ্টতা ও অমার্জনীয় অপরাধের দায়ে ফ্রান্সের সাথে সমস্ত প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, সরকারী-বেসরকারীভাবে ফ্রান্সের সকল পন্য বয়কট, ফ্রান্সের অপরাধকে সমর্থনকারীদেশের সাথে সমস্ত প্রকার কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ ওআইসি’র মাধ্যমে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপসহ দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছে, হবিগঞ্জ জেলা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত।
আজ হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ‘ইয়াদ শরীফ উনার ফাযায়িল-ফযীলত এবং মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ফ্রান্সসহ সমস্ত শাতিমে রসূলের চরম দৃষ্টতাপূর্ণ বেয়াদবির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন, হবিগঞ্জ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত এর সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহম্মদ তোফাজ্জল হোসাইন হানাফী, সহ-সভাপতি আল্লামা মুহম্মদ মুশফিকুর রহমান বাদশাহ, সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল সাদমান জহির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল্লামা জাকির হোসেন অপু, মোহাদ্দিস আল্লামা ইমরান হাসান পাঠুলী, আল্লামা মুফতি মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম সহ অনেকেই ।
সাইয়্যিদুল আ‘ইয়াদ শরীফ প্রসঙ্গে সেমিনারে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক (হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য তারা যেনো সম্মানিত ঈদ উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ বা ঈদ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া-আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি মানবজাতির প্রতি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা তথা সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করাকে ফরয করে দিয়েছেন। আর এ মুবারক নির্দেশ পালনার্থেই সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা সারাজীবন আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের অমার্জনীয় চরম দৃষ্টতা প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ফরাসী প্রেসিডেন্টের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যঙ্গচিত্র ও কার্টুন প্রচার বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। মুসলমানরা যা কখনোই বরদাস্ত করেনা। এমন জঘন্যতম অমার্জনীয় দৃষ্টতার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ এবং কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের ৩৫০ কোটি মুসলমান আমরা মুসলমানরা আমাদের মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজের জান-মাল থেকেও বেশি ভালবাসি। উনার সমুন্নত শান মুবারকে কোন ধরণের বেয়াদবী আমরা কখনোই বরদাস্ত করিনা। উনার ভালবাসায় আমাদের কাছে পুরো সৃষ্টি জগত অতি তুচ্ছ। উনার জন্য আমাদের সমগ্র উপার্জন ও প্রাণ উৎসর্গকৃত। উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ও কার্টুন প্রচার করে ফরাসী ম্যাক্রন গোষ্ঠী ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।
বক্তারা বলেন, আমাদের মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শান বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র ও কার্টুনসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সর্বপ্রকার কার্যক্রম এই মূহুর্তেই বন্ধ করো, করতে হবে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সব অপতৎপরতার জবনিপাত এখনই করতে হবে।
বক্তারা বলেন, আমরা মহান বারী তায়ালা উনার নিকট তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কঠিন বদ দুআ করছি। আমাদের অন্তরের অন্তস্থলের কামনা, পানি আগুন আর বাতাসের তান্ডবে ফ্রান্স একাকার হয়ে যাক। ফ্রান্স নামক ভূমি ইতিহাস হতে চিরতরে হারিয়ে যাক। তোমাদের সাথে আমাদের রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িকসহ সব সম্পর্ক ছিন্ন। তোমাদের সাথে যারা সম্পর্ক রাখবে, তারা মুসলমানদের থেকে বিচ্ছিন্ন। মুসলমানদের পক্ষ হতে, তোমাদের প্রতি চির অভিসম্পাত।
মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, সমস্ত মুসলিম দেশ থেকে
পৃথিবীজুড়ে মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে বিধর্মী-কাফিরদের ধ্বংসে শক্তভাবে দোয়া করা উচিত
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ
অর্থ: “তোমরা অন্যায় কাজ হতে দেখলে হাত দ্বারা বাধা দাও। যদি তাতে সামর্থ্যবান না হও তাহলে যবান বা মুখ দ্বারা বাধা দাও। যদি তাতেও সামর্থ্যবান না হও তাহলে অন্তরে ঘৃণা করো (সেখান থেকে চলে যাও) আর ইহা দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।”
সম্মানিত মুসলমানগণকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের তর্জ-তরীক্বা নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেয়া হয়েছে। মুসলমান কখনো অন্যায় দেখতে পারে না। অন্যায় সহ্য করতে পারে না। উনারা অন্যায়ের প্রতিরোধে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। অথচ আজ মুসলমানগণ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে ভাষা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। নাউযুবিল্লাহ! নীরবে অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করে বোবা শয়তানের ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে জুলুম, নির্যাতন, ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে।
এই জুলুম, নির্যতন, নিপিড়ণ ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচার জন্য গইবী মদদ প্রয়োজন। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, দয়া, দান ইহসান প্রয়োজন। আর এখনই সেই রহমমত-বরকত, সাকীনা, দয়া, দান, ইহসান তথা গইবী মদদ পাওয়ার মোক্ষম সময়।
মু’মিন-মু’মিনাগণকে রহমত, বরকত, দয়া-দান ইহসানের জন্য খালিছভাবে প্রার্থনা করতে হবে। দোয়া করতে হবে দৃঢ়তার সাথে। আর পাশাপাশি কাফিরদের ধ্বংসের জন্য তাদেরকে বদদোয়া করতে হবে। এখন প্রত্যেক দোয়াই মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করবেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মজলূম বা অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি বিফল করেন না। তিনি তার দোয়াকে সসম্মানে মেঘের উপর উঠিয়ে নেন। তার জন্য আসমানের সকল দরজা খুলে দেয়া হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার ইজ্জত-সম্মানের কসম! আমি অবশ্যই অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো। যদিও একটু বিলম্ব হয়। (তিরমিযী শরীফ)
আপনারা সবসময় কামিয়াব বা বিজয়ের জন্য দোয়া করুন। ই হু দী নাছারা মজু সী মুশ রি কদে র বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংসের জন্য বদ দো *য়া করুন। যামানার মহান মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া-মুনাজাত মুবারকে শরীক থাকুন। জোরে জোরে আমীন, আমীন বলুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে বিজয়ী করবেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)