পবিত্র কুরবানির জন্য স্পট নির্ধারণ কেন? সরকার কি মুসলমানদের কুরবানিতে বাধা সৃষ্টি করতে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে?

প্রতি বছরই পবিত্র কুরবানির সময় নানা অযুহাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করে কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মহল। বিশেষ করে সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে অবাধ বিচরণকারী রাঘব বোয়ালদের কুপ্ররোচণায় সরকার এসব ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু এদেশে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান এবং তাদের সমর্থন নিয়েই শাসকগোষ্ঠীদের টিকে থাকতে হয়, একথাটি হয়তো তারা ভুলে যায়। তাই প্রতি বছরের মতো এবারে পবিত্র কুরবানিতে বাধা সৃষ্টি করতে কিছু ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে পড়েছে প্রশাসন। সরকারিভাবে এবার পশু কুরবানির জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ আমার বাড়িতে আমি কুরবানি দিতে পারবোনা, দিতে হবে সরকারের নির্ধারিত জায়গায়। এটা সবাই জানে যে, উগ্র সাম্প্রদায়িক ভারতের হিন্দুরা সেখানে মুসলমানদের কুরবানি করতে দেয়না। কিন্তু বাংলাদেশেতো ৯৮ ভাগ মুসলমান, এদেশে কেন মুসলমানদের পশু কুরবানিতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? 

অনেক অথর্ব মুসলমান কোনো ফিকির না করেই এটাকে সমর্থন জানাচ্ছে। অথচ এই ব্যবস্থায় কুরবানি দিলে প্রতিটি স্পটে একটি-দুটি নয়, বরং বহু ধরনের ফিতনা-ফাসাদ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেমন- সরকারি ক্যাডারদের দৌরাত্ম্য, মারামারি, পরস্পর দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যার যার পশুর গোশত নিয়ে কোন্দল, অব্যবস্থাপনা, কসাই নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি, পশু নিয়ম মাফিক জবাই হবে না। ফলে ফিতনা সৃষ্টি হবে, যেহেতু একেকটি স্পটে হাজার হাজার পশু কুরবানি হবে সেহেতু সেখানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। 
সুতরাং পরিবেশ রক্ষার নামে ভারতীয় ষড়যন্ত্র এদেশে চলবে না। সিটি কর্পোরেশনের এসব ষড়যন্ত্রমূলক ঘোষণা তুলে নিতে হবে। প্রত্যেক মুসলমান যার যার বাড়ির আঙ্গিনায় কুরবানি করবে।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট