ইউরোপীয়রা বাগান করার ধারণা পেয়েছে মুসলমানদের কাছ থেকে। সৌখিন ও পিপাসী জাতি হিসাবে আরবরা বাগান করতো। এছাড়া বাগান করার পেছনে একদিকে ছিল তাদের ধর্মীয় আবেগ এবং অন্যদিকে ছিল ভূ-প্রকৃতি। পবিত্র কোরআনে বাগানের বহু বর্ণনা দেয়া হয়েছে এবং পবিত্র হাদিসে ঈমানদার মুসলিম নর-নারীকে আখেরাতে জান্নাতের বাগানে ঠাই দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। তাই মুসলমানদের মনে বাগান একটি বিরাট স্থান দখল করে থাকতাে।
আরব দেশের ভূ-প্রকৃতি রুক্ষ ও মরুময় হওয়ায় আরবরা সুশীতল ছায়া লাভের আশায় বাগান করতাে। বাগান তৈরিতে আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশীদ ও তার পুত্র আল-মামুনের বিশ্বজোড়া খ্যাতি ছিল । বাগদাদে খলিফা আল-মামুনের প্রাসাদের মনােরম বাগানে দুর্লভ ফুল ছাড়াও যন্ত্রচালিত দুটি পাখি ছিল। একটি ছিল রূপার এবং আরেকটি ছিল সােনালী রংয়ের। সুগন্ধিতে চারদিক আমােদিত হতাে।
একাদশ শতাব্দীতে মুসলিম শাসিত স্পেনে প্রথম রাজকীয় বাগান তৈরি করা হয়। আব্বাসীয়দের কাছে পরাজিত উমাইয়াদের একটি অংশ স্পেনের আন্দালুসিয়ায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। আন্দালুসিয়ার ভূমি ছিল বাগান করার জন্য আরব দেশের চেয়ে উৎকৃষ্ট। সেখানকার বাগানে পারস্যের লাল গােলাপ ও টিউলিপসহ অসংখ্য ফুল ফুটতাে। ক্রমে ক্রমে স্পেন থেকে গােটা ইউরােপে বাগান ও ফুলের প্রতি আগ্রহ ছড়িয়ে পড়ে।
#IGSRC
সূত্র:
বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান : এম. আকবর আলী