মনে রাখবেন- দোয়া কবুলের খাছ রজনী পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ


   লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য দোয়া কবুলের খাছ রাত। এ রাতে বান্দা-বান্দী উনারা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার নিকট যে দোয়া করে থাকেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাই কবুল করেন। বান্দা-বান্দী দুনিয়া ও পরকালের যা চায়, মহান আল্লাহ পাক তাই দান করেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পাঁচটি রাত্র এমন রয়েছে যেগুলোতে দোয়া করলে তা রদ বা বাতিল করা হয় না। ১. পহেলা রজবুল হারাম শরীফ উনার রাত, ২. পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যরাত অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ ৩. পবিত্র জুমুয়া উনার রাত ৪. পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার রাত ৫. পবিত্র ঈদুল আযহা উনার রাত। সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী শরীফ)
অতএব, আমাদের প্রত্যেকের উচিত পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার মধ্যে বেশি বেশি দোয়া করা। আর সেক্ষেত্রে   দোয়া করার এবং তা কবুল হওয়ার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ ও খলীফা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার এবং উনার সাথে দোয়া-মুনাজাতে শরীক হওয়া।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহান মুবারক মকবুল মুনাজাত শরীফ উনার মাঝে শরীক হয়ে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার তাওফীক দান করুন। আমীন!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট