কারামতে মুতহ্হারাহ, মুতহ্হিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম-২২


জাফরের আম্মু যখন তৃতীয়বার  পড়হপরবাব  করেন, তখন উনি আল্ট্রাসোনো করার পর ডাক্তাররা বলল যে, আপনার এই বাচ্চা  ধনড়ৎঃরড়হ  করে ফেলতে হবে। কারণ, আপনার বাচ্চা নিচের দিকে, ফুল উপরের দিকে। এভাবে বাচ্চা থাকলে যেকোন সময় মা-বাচ্চা মারা যেতে পারে। কারণ, ফুল উপরের  দিকে থাকার কারণে মা যখন বসে তখন ফুলে চাপ লেগে যেকোন সময় নৎঁংঃ  হয়ে যেতে পারে। তখন মা মারা যান। কিন্তু উনার ইচ্ছা ছিল উনার একটা মেয়ে হবে, যেহেতু উনার এর আগে দু’টি ছেলে আছে। তাছাড়া উনি কিছুতেই ধনড়ৎঃরড়হ করবেন না। ডাক্তার উনাকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলেছে, কিন্তু এদিকে উনার আহাল এক্সিডেন্ট করেছেন, আবার উনার দুই ছেলেও তখন ছোট ছিল। উনার শারীরিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। তাছাড়া উনার ছেলেদেরকেও দেখাশুনা করতে হত। আর যেহেতু উনাকে ডাক্তার বলেছিল, সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে তাই উনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট আসতে পারেন নি, অন্য একজন পীরবোনের মাধ্যমে দোয়া মুবারক চান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি পেটের উপর দিক থেকে নিচ পর্যন্ত পড়া তেল মালিশ করতে বলেন। তিনি সেই অনুযায়ী নিয়মিত তেল মালিশ করতে থাকেন। কিছুদিন পর তিনি লক্ষ্য করলেন, উনার শারীরিক অবস্থা  আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। উনি আগের থেকে অনেকটা সুস্থতা লাভ করেছেন। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এভাবে কয়েকমাস অতিক্রম করার পর যখন উনার প্রেগনেন্সির ৬/৭ মাস পাড় হয়, তখন উনার আহাল উনাকে বললেন,“ আপনাকে তো এখন আগের থেকে অনেকটা সুস্থ মনে হচ্ছে, আরেকবার আল্ট্রাসোনো করে দেখেন।” পরে উনি আল্ট্রাসোনো করার পর  ডাক্তারকে রির্পোট দেখালেন। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললেন,“ রিপোর্ট তো নরমাল। এমনকি কোন সমস্যা হয়েছিল?” পরে উনি উনার পূর্বের সমস্যার কথা বললেন। ডাক্তার উনার  পূর্বের সমস্যার কথা শুনে অবাক হয়ে বলল, কোথায়! এখন তো কোন সমস্যা নেই। উনি ডাক্তারের কথা শুনে বললেন যে, “এটা সম্পূর্ণ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কারামত মুবারক।”

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট