সম্মানিত সুন্নত উনার ফযীলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। একটি সুন্নত জারী হওয়া মানেই একটা বিদআত ধ্বংস হওয়া। আর সে সুন্নত মুবারক ঘিরে রয়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন হতে শুরু করে খাবার-দাবার আসবাবপত্র সবকিছুর মধ্যে।
আর এ সুন্নত মুবারক যদি একজন মুসলমান হাক্বীক্বীভাবে অনুসরণ করতে পারে তাহলে তার জিন্দেগী কামিয়াব। কেননা একজন বান্দা-বান্দির আমলের ক্ষেত্রে একটি সুন্নত মুবারক উনার আমল যদি এক পাল্লায় রাখা হয় এবং সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত আমলকে এক পাল্লায় রাখা হয় তাহলে একটি সুন্নত মুবারক রাখা পাল্লা অবশ্যই ভারী হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে যে বান্দা-বান্দি একটি সুন্নত মুবারক গ্রহণ করে সে কেমন ফযিলত প্রাপ্ত হবে তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
এখন কথা হলো মানুষ হাক্বীক্বী ইলিম থেকে দূরে থাকার কারণে সুন্নত কি? এবং সুন্নত উনার ফযীলত সম্পর্কে মোটেই অবগত নয়। মূলতঃ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সুন্নত উনার অনুসরন করা সম্ভব যদি সুন্নত সম্পর্কে মানুষ অবগত থাকে, ও একটু খেয়াল করে চলে। আর সে সুন্নতি জীবন যাপনের বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন সুন্নতি খাবার-দাবার এখন আপনার অতি সন্নিকটে। সুন্নতি খাবার-দাবার হচ্ছে যা আমাদের প্রাণের নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গ্রহণ মুবারক করেছেন, পছন্দ মুবারক করেছেন এবং শারীরিক বিভিন্ন উপকারিতায় এসব গ্রহণ করতে নির্দেশ মুবারকও দিয়েছেন।
আর যে সব সুন্নতি খাবার-দাবার বস্তু সামগ্রী রয়েছে যা বলতে গেলে মানুষ দেখাতো দূরের কথা, নামও শুনেনি। যা স্বয়ং আমাদের প্রাণের নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গ্রহণ মুবারক করেছেন।
অত্যন্ত খুশির সহিত বলতে হচ্ছে, নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গ্রহনীয় খাবার এখন দুর্লভ নয়, আমাদের অত্যন্ত হাতের কাছেই রয়েছে যা আপনি সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন যেমন সুন্নতি পোশাক-আশাক, জুতা-সেন্ডেল, মোজা, সুন্নতি প্রসাধনী ইত্যাদি। আর সুন্নতি খাবারের মধ্যে বিভিন্ন সুন্নতি ফল-ফলাদি হতে শুরু করে তালবিনা, সারিদ, নাবীজ, কিচ্ছা, শুকনো গোশ্ত, জয়তুন তেল, হারিছা, সুন্নতি দস্তরখানা, কাঠের তৈরী সুন্নতি প্লেট, বাটি, লবনদানী সহ ইত্যাদি অনেক কিছু পাওয়া যায়।
তাই সম্মানিত সুন্নত উনার ফযীলত অর্জন করতঃ সুন্নতি দ্রব্যাদি গ্রহণে সুস্থতা সহ ইহকালে-পরকালে কামিয়াব অর্জন করতে আজই সুন্নতি খাবার ও দৈনন্দিন জীবনের সামগ্রীসমূহ সংগ্রহ করুন।
স্থানঃ- মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালক-বালিকা মাদরাসা, ক্যান্টিন শরীফ, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ। সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ গেট।