৫৬১ হিজরী সনের ১১ই রবীউছ ছানী, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গউছুল আ’যম, মাহবুবে সুবহানী, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেদিন থেকে অদ্যাবধি সারা বিশ্বের সকল মুসলমান ওই মুবারক দিনটি পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ রূপে পালন করে আসছে। ইনশাআল্লাহ ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই ধারা জারি বা অব্যাহত থাকবে। সারা বিশ্বের সকল মুসলমান ওই দিনটি পালন করে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, বরকত, সাকীনা, দয়া, দান, ইহসান খাছভাবে লাভ করে থাকেন।
মহান আল্লাহ পাক উনার মহান কুদরত উনার প্রকাশস্থল হচ্ছেন ওলীআল্লাহগণ উনারা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়া থেকে পর্দা করার পর থেকে যুগে যুগে যত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা অতীত হয়েছেন সবার উপরই সেই মহান কুদরত মুবারক কিছু না কিছু জাহির হয়েছে।
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, মুহিউদ্দীন হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়টি একটু ব্যতিক্রম। অর্থাৎ উনার ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো ব্যাপক, অর্থবহ এবং গভীরভাবে লক্ষ্য করার মতো। তিনি ৪৭১ হিজরী ১লা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম তথা সোমবার ছুবহে ছাদিকের পূর্বে ইরানের অন্তর্গত জিলান শহরে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন থেকে তিনি রোযা রেখেছিলেন। আর সেদিন থেকেই পথহারা আত্মভোলা মানুষদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দান করেছেন। অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছেন অতি অল্প বয়স মুবারক থেকেই। উনাকে দেখে সবাই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান কুদরত মুবারক উনার কথা স্মরণ করতে শুরু করে দেন। তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ১৫/১৯ পারা হিফয করেন উনার আম্মা আমাতুল জাব্বার, উম্মুল খায়ের, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার পবিত্র রেহেম শরীফ উনার মধ্যে অবস্থানকালীন সময়ে।
বাল্যকাল থেকেই উনার সাথী ছিলেন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ। তিনি যেদিন মক্তবে গেলেন সেদিন বসার জায়গা ছিলো না। উনার সঙ্গী মানুষরূপী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে একজন বললেন, ওলীআল্লাহ উনার জন্য জায়গা ছেড়ে দাও। আর সাথে সাথে জায়গা করে দেয়া হলো। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ছিলেন উনার তরবিয়ত দাতা।
তিনি যখন অন্যান্য শিশুদের সাথে মাঠে যাওয়ার জন্য বের হতেন তখন গইবী (অদৃশ্য) আওয়াজ শুনতে পেতেন, “হে বরকতময় শিশু! আপনি আমার কাছে চলে আসুন।” এ বাণী মুবারক শুনে তিনি আর মাঠে যেতে পারতেন না। ঘরে ফিরে স্নেহময়ী মা উনাকে এ ঘটনা বলতেন। তখন উনার সম্মানিত মাতা তিনি অতি সহজেই বুঝতে পারতেন এ সন্তান সাধারণ সন্তান নন।