বিজাতীয় তথা কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারাদের সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট বা বর্ষ বরণ, অনুষ্ঠান যা মুসলমানদের জন্য হারাম,কুফরী এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তাহলে ঐ মুসলমানের ৫০ বছরের আমল বরবাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগির সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। (নাউযুবিল্লাহ)
আজকে অনেক মুসলমান থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করছে। ইংরেজি নববর্ষ, ফসলী সনের নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ পালন করছে। আর এতে করে তারা বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই সম্পর্ক রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ করছে। (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্নিত রয়েছে-
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
অর্থ: যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
কাজেই যারা বিজাতীয় তথা কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারাদের সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট বা বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান পালন করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে এবং হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে অর্থাৎ তারা জাহান্নামী হবে। (নাউযুবিল্লাহ)
সুতরাং মুসলমানদের উচিত বিজাতীয় তথা কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারাদের সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট বা বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান পালন থেকে বিরত থাকা এবং সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে বিজাতীয় তথা কাফির-মুশরিক,ইহুদী-নাছারাদের সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট বা বর্ষ বরণের নামে যে অশ্লীলতা চর্চা হয় তা বন্ধ করে দেয়া।
কারণ ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে ব্রিটিশদের ইংরেজি সন নিয়ে এতো মাতামাতি তথা থার্টিফার্ষ্টসহ ইসলামবিরোধী কোন কাজ হতে পারে না। বিজাতীয় তথা কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারাদের সংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট বা বর্ষ বরণের নামে যারা অশ্লীলতা চর্চা করে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নিতে হবে পাশাপাশি ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানদের দিবস সমূহ পালনে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে এবং সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।