শিক্ষানীতি নিয়ে কাফির-মুশরিক-নাস্তিকদের ধূর্ততা, বিপরীতে মুসলমানদের নির্বুদ্ধিতা

শিশুদেরকে জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। জাতির এই কর্ণধাররা যতই সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হতে পারবে ততই জাতির জন্য কল্যাণকর। এই বিকশিত হওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামী হলে শিশুটি ইসলামী মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে বেড়ে উঠবে। আর যদি শিক্ষানীতি নাস্তিক্যবাদী হয়, তাহলে শিশুটি নাস্তিক হয়ে বেড়ে উঠবে। এখন শিশুটি যদি ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে উঠে, তাহলে বাংলাদেশকে তাঁবেদার করে রাখার কাফির-মুশরিকদের দীর্ঘদিনের প্রোটকল ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই শিক্ষাব্যবস্থা যাতে ইসলামী না হয় সেজন্য কাফির-মুশরিকগুলি আদাপানি খেয়ে নেমেছে। এই উদ্দেশ্য তারা অনেকটাই সফল। তারা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নাহিদের মতো একজন কাট্টা নাস্তিককে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বসিয়েছে। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেবাসকে নাস্তিক্যবাদী করা হয়েছে। আর মুসলমানরা অবচেতন ঘুমে আচ্ছন্ন। তার চোখের সামনে তার ছোট্ট সন্তানটি নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে অথচ তার কোনো বোধোদয় নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি না করুন- সন্তানটি যদি সত্যিই নাস্তিক হয়ে বেড়ে উঠে, তাহলে কি পুনরায় তাকে আস্তিক বানানো যাবে। কস্মিনকালেও নয়। তাই চূড়ান্ত সর্বনাশটা হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

জেগে জেগে ঘুমের ভান করবেন না- বিষয়টা কতটা গুরুতর তা বোঝার চেষ্টা করুন। সরকারকে বাধ্য করুন- ৯৮% মুসলমানের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কখনোই একজন নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রীর খেয়াল-খুশির উপর চলতে পারে না। সরকারকে বলুন- ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কেনো আইন পাস হবে না’, এ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তাদের ভূমিকা নেই কেন?

এখন সরকার যদি প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে সরকারের জন্য কি পরিণতি অপেক্ষা করছে তা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিন। লাল দালানে থাকার স্মৃতি নিশ্চয় সরকার ভুলে গেছে! নিজের মুসলমানিত্ব প্রমাণ করুন। প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানকে নাস্তিক হওয়া থেকে বাঁচান। সব মুসলমান ভাইকে নিয়ে জনমত গড়ে তুলুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া, সংবাদ সম্মেলনসহ সর্বপ্রকার প্রন্থা অবলম্বন করে পরিচিত-অপরিচিত সবার কাছে প্রচলিত শিক্ষানীতির ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরুন।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট