ষষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর বিশ্বখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَركَةُ فِىْ كُلّ شَىْءٍ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্যদ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন।” (তাতে বরকত হবেই)। সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لاِٰكِلِهٖ.
অর্থ : “উক্ত মুবারক খাদ্য পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী উনার বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারী উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাঁকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحَـمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلّ وَّعِلَّةٍ وَلَايَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ.
অর্থ : “যদি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে উনার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর উনার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে। যে দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ওই পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবেনা।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَمَنْ قَرَأَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى دَرَاهِمَ مَسْكُوْكَةٍ فِضَّةٍ كَانَتْ اَوْ ذَهَبًا وَخَلَطَ تِلْكَ الدَّرَاهِم بِغَيْرِهَا وَقَعَتْ فِيْهَا الْبَرْكَةُ وَلَا يَفْتَقِرُ صَاحِبُهَا وَلَا تَفْرُغُ يَدُهٗ بِبَرْكَةِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে রৌপ্যের দিরহামসমূহ অথবা স্বর্ণের দিনারসমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না। আর উক্ত পাঠকের হাত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের) বরকতে কখনো খালি হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৯ম পৃষ্ঠা)