নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করে মামলার বাদি গাম্বিয়া। এসময় রোহিঙ্গা গণহত্যাকে বৈশ্বিক ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিশ্ব কেন এ ধরনের বর্বরতা ঘটে যাওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বাদিপক্ষ। আজকে মিয়ানমারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি।
স্থানীয় সময় গতকাল ইয়াওমুস ছুলাছা (মঙ্গলবার) সকাল দশটায় নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের শুনানি শুরু হয়। প্রথমে বক্তব্য দেয় আদালতের চেয়ারম্যান বিচারক আবদুল কোয়াই আহমেদ।
এরপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে মামলার বাদি গাম্বিয়া।
দেশটির আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, কোন সভ্য সমাজ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারে না। গণহত্যার বিষয়টি আচমকা ঘটেনি, রোহিঙ্গা উৎখাতের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। কয়েক দশক ধরেই রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আববকর মারি দাম বলেন, 'রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। প্রত্যেক গণহত্যার পেছনেই একটি নিজস্ব কারণ থাকে। মিয়ানমার দীর্ঘদিন গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। সভ্য সমাজ হিসেবে আমরা দায়িত্ব এড়াতে পারি না। বিশ্ব কেন এ ধরনের বর্বরতা ঘটে যাওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। গাম্বিয়া চায় রোহিঙ্গা শিশুরা সাধারণ শিশুদের মত বেড়ে উঠুক। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, আমরাও চাই রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ হোক।'