পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ফিতনা-ফাসাদের যুগে একটিমাত্র সুন্নতকে আঁকড়ে ধরবে সে একশত শহীদের ছওয়াব পাবে।” (মিশকাত শরীফ)
তাই সকলের উচিত জীবনের সকল ক্ষেত্রে পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুসরণ করা। সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনে বেমেছাল ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন, মুহইস সুন্নাহ রাজারবাগ শরীফের সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। আর সকলেই যাতে সুন্নত মুবারক অনুসরণ করতে পারেন সেজন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র। যেখানে দুঃস্প্রাপ্য সব সুন্নতি আসবাবপত্র, খাবার-দাবার, তৈজসপত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়।
এখানে খাবারের কতিপয় সুন্নতী তরতীব/নিয়ম বর্ণনা করা হলো:
১.খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় প্লেট রেখে খাবার খাওয়া।
২.কাঠের প্লেটে খাবার খাওয়া।
৩.খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ শরীফ পাঠ করা।
৪.খাবারের শুরুতে লবন খাওয়া।
৫.ডান হাত দিয়ে খাবার খাওয়া।
৬.নামাযের সূরতে বসে খাবার খাওয়া।
৬.মাথায় কাপড় দিয়ে খাবার খাওয়া।
৭.খাবার খাওয়ার সময় পায়ে স্যান্ডেল থাকলে তা খুলে খাওয়া।
৮.খাবারের পূর্বে এবং পরে দুই হাত ধৌত করা।
৯. প্লেটের ডান দিক থেকে খাবার খাওয়া শুরু করা।
১০.শুরুতে খাবারের লোকমা মুখের ডান দিকে দেয়া এবং ডান দিক দিয়ে চিবানো শুরু করা ।
১১.খাবারের লোকমা অনেক বড় এবং অনেক ছোট খাওয়া সুন্নত উনার খিলাফ তাই মাঝারি ধরনের খাওয়া।
১২.খাবার খাওয়ার মাঝে মাঝে পানি পান করা ।
১৩.কাঠের পেয়ালায় পানি পান করা।
১৪.ছোট ছোট ঢোকে পানি পান করা।
১৫.খাবারের শেষে বেশি পানি পান না করে আধা ঘন্টা পর বেশি পানি পান করা ।
১৬.খাবারের শেষে প্লেট এবং আঙ্গুল ভাল করে চেটে খাওয়া।
১৭.খাবারের শেষে লবন খাওয়া।
১৮.দস্তরখানায় পরে থাকা খাবার তুলে খাওয়া।
১৯.দস্তরখানার উপর খাবারের ময়লা ফেলা সুন্নত উনার খিলাফ; তাই দস্তরখানা পরিষ্কার রাখা।
২০.দস্তরখানা উঠানোর পর নিজে উঠা।
২১. পেটের ৩ ভাগের ১ ভাগ অংশ খালি রেখে খাবার খাওয়া।
২২.যে প্লেটে খাবার খাওয়া হয় সেই প্লেটে হাত না ধুয়ে অন্য কোন পাত্রে হাত ধোয়া।