সৎ ও অসৎ সঙ্গের মেছাল



পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- সৎ লোকদের সংসর্গ ও অসৎ লোকদের সংসর্গ যথাক্রমে কস্তুরী বিক্রেতা ও ফুঁকদানকারী (কর্মকার) এর সাথে তুলনীয়। কস্তুরী বিক্রেতা হয়তো তোমাকে এমনিতেই কিছু কন্তুরী দান করবে, অথবা তুমি তার কাছ থেকে কিছু কস্তুরী খরিদ করবে, আর কমপক্ষে কিছু না হলেও ওর সুঘ্রাণ তোমার অন্তর ও মস্তিষ্ককে সঞ্চারিত করবে। পক্ষান্তরে ফুঁকদানকারী তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে। অথবা কমপক্ষে তার কাছ থেকে ধুঁয়ার দুর্গন্ধ তুমি পাবে।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে সৎসঙ্গীকে কস্তুরী বহনকারীর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অর্থাৎ কস্তুরী বহনকারীর কস্তুরীর সুঘ্রাণ শুধু বহনকারীকে মোহিত করে না; বরং ওটা তার সাহচর্যে আগমনকারী ও আশপাশের লোকজনকেও আপন সৌরভ দ্বারা বিমোহিত করে তোলে। তেমনি সৎ সঙ্গীর চরিত্র মাধুর্যও তার সাথীদের পুলকিত করে তাদের মধ্যেও তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

আর দুষ্টও মন্দ সঙ্গীকে কর্মকারের হাঁপরে ফুঁকদানকারীর সাথে তুলনা করা হয়েছে, যা দ্বারা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে হয়তো সঙ্গীর বস্ত্র পুড়িয়ে দিবে, কিংবা তা হতে এক প্রকার বিকৃত দুর্গন্ধ বের হবে।  অর্থাৎ দুষ্ট ও মন্দ সঙ্গীর চরিত্রের দোষণীয় দিকগুলো তার মধ্যে প্রভাব সৃষ্টি করবে, তাকেও মন্দে পরিণত করবে। কাজেই সৎসঙ্গ গ্রহণ করতে হবে এবং অসৎ সঙ্গ বর্জন করতে হবে। আমীন!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট