নামায রোযা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়ষ্ক মুমিন মুসলমান ছেলে মেয়ে সবার জন্যই ফরযে আইন। আর বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, পবিত্র দ্বীন ইসলামে নির্দেশিত প্রতিটি আমল আখলাক ছোট বেলা হতে শিক্ষা দিতে হয় কিংবা প্র্যাকটিস করাতে হয়। এটা প্রত্যেক মুসলিম অভিভাবকদের জন্য ফরজ। কিন্তু বর্তমানে মানুষ দুনিয়াদারীতে এতটাই মগ্ন হয়ে গেছে যে, সামান্য দুনিয়াবী পড়ালেখার অজুহাতে, পরীক্ষার অজুহাতে, শারীরিক দুর্বলতার অজুহাতে অতি দয়া মায়া দেখিয়ে মুসলমান নামধারী পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদেরকে ফরয আমাল রাখা হতে বিরত রাখার অপচেষ্টা করে। নাঊযুবিল্লাহ!
অথচ এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ মুসলিম প্রজন্মকে যেমন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধিবিধান পালন করা হতে তাদের মন-মনন, অনুভূতিকে হালকা করে দেয়া হচ্ছে, অপরদিকে সন্তানদের ফরয তরকের মারাত্মক কবীরা গুনাহের দায় পিতা-মাতা অভিভাবক তাদের উপরই বর্তাচ্ছে। এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয়, সন্তান যে ফরয তরকের গুনাহ কামাচ্ছে সেটাতেও তার একটু কমতি হবে না। অতএব, পিতা-মাতা যদি সন্তানকে সত্যিকার অর্থে ভালোবেসে থাকে তবে কক্ষনোই তাদেরকে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধের গুনাহতে লিপ্ত হতে দিতে পারে না। অতীতে এমন মারাত্মক ভুল করলেও এখন থেকে যাতে আর তা না হয় সে বিষয়ে প্রত্যেক মুসলমান পিতা-মাতা অভিভাবককে তওবার সাথে রুজু থাকতে হবে।