বড় জালিম তো সেই, যে পবিত্র মসজিদ উচ্ছেদ বা ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে মদদ দেয়

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম কে আছে যে পবিত্র মসজিদে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির আযকার করতে বাধা প্রদান করে।”
উল্লেখ্য যে, মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “পবিত্র মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর।” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর উনার মূল হচ্ছেন পবিত্র কা’বা শরীফ। যা সৃষ্টির শুরু থেকে মোট দশবার পুনঃনির্মিত হয়েছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক নির্দেশে উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকেসহ পবিত্র কা’বা ঘর পুনঃনির্মাণ করার পরে অনেক পাথর অতিরিক্ত হিসেবে থেকে গেল। সেই অতিরিক্ত পাথর মুবারকগুলি কি করা হবে সে বিষয়ে হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আরজু করার প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন- “কিছু পাথরে মহান আল্লাহ পাক আর কিছু পাথরে সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখে সেগুলি পৃথিবীর চতুর্দিকে নিক্ষেপ করতে। মুবারক নির্দেশ অনুযায়ী উনারা দুজনে মিলে সেই পাথর মুবারকগুলি পৃথিবীর চতুর্দিকে নিক্ষেপ করলেন। সম্মানিত আল্লাহু লফয মুবারক লিখা পাথর মুবারক যে স্থানে পতিত হয়েছেন, ক্বিয়ামতের পূর্বে হলেও সেখানে একটি মসজিদ নির্মিত হবে। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারক লিখিত পাথর মুবারক পৃথিবীর যে স্থানে পতিত হয়েছেন ক্বিয়ামতের পূর্বে হলেও সে যমীনে একটি মাদরাসা তৈরি হবে। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং কোনো স্থানে কোনো মসজিদ নির্মিত ও প্রতিষ্ঠিত হলেই বুঝতে হবে, সেই জায়গা মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতী স্থান ও হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিক্ষিপ্ত পাথর মুবারক পতিত হওয়া স্থান। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই উক্ত স্থানকে সম্মান করা ও সেই মসজিদের হিফাযত ও খিদমতের আনজাম দেয়া কায়িনাতবাসীর জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া কেউ যদি পবিত্র মসজিদসমূহে ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আযকার করতে বাধা প্রদান করে অথবা মুসলমানগণ যেন ইবাদত করতে না পারে সেজন্য পবিত্র মসজিদসমূহ ভেঙ্গে ফেলে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সে ব্যক্তিকেই সবচেয়ে বড় যালিম বলে সম্বোধন করেছেন। নাউযুবিল্লাহ!
সুতরাং বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে পবিত্র মসজিদের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মুসলমানরা জীবন দিয়ে হলেও রুখবে। 
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও কতিপয় নামধারী মূর্খ, ভুয়া ইঞ্জিনিয়ারদের এ সমস্ত অযৌক্তিক চিন্তাপ্রসূত কার্যাবলী গ-মূর্খতার শামিল। ইতঃপূর্বে তো মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতী স্থান কোনো পবিত্র মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়নি। চলাচলের বিঘœতা ঘটেনি। হঠাৎ করে চলাচলের পরিবেশের অজুহাত কেন তোলা হলো তাও ভাবতে হবে। কাজেই রাস্তা তৈরির দোহাই দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতী স্থান পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গার গভীর ষড়যন্ত্র গযবই বয়ে আনবে। 
অতএব, সরকারকে অবশ্য অবশ্যই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে। 
সুতরাং মুসলমানরা কখনোই সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না, বরং সেই সকল যালিমরা জনগণের সামনে ভুল স্বীকার না করলে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবে।

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট