কাফির ও ফাসিকদের প্রশংসা করার বিষয়ে শরীয়ত কি বলে?

ফাসিকদের প্রশংসা প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যখন কোন ফাসিক লোকের প্রশংসা করা হয় তখন মহান আল্লাহ পাক এতোটা অসন্তুষ্ট হন যে, পবিত্র আরশে আযীম উনার খুঁটিগুলো (ভয়ে) প্রকম্পিত হতে থাকে।” 
ফাসিক কাকে বলে? ফাসিক হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করে বা অমান্য করে। অর্থাৎ সে মুসলমান বা ঈমানদার হলেও আমলে ত্রুটি আছে, ফরয-ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আমলসমূহ সে পালন করেনা কিংবা হারাম নাযায়েজ কাজে লিপ্ত রয়েছে। সে মুসলমান হওয়ার পরেও যদি তার প্রশংসা করলে মহান আল্লাহ পাক এতোটা অসন্তুষ্ট হন তাহলে যে লোক মহান আল্লাহ পাক উনাকেই মানেনা, উনার সাথে শিরক করে অন্য কোন কিছুর পূজা-উপাসনা করে তার প্রশংসা করলে কি হবে? এরাতো মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রু। কাফির-মুশরিকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক এতোটা অসুন্তুষ্ট যে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সাতশ’ পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। যেমন- “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫১)
সূতরাং তাদের সাথে মুহব্বত পোষণ করা, তাদের প্রশংসা করা স্পষ্ট কুফরী। যে করবে সেও তাদের অন্তুর্ভূক্ত হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট