মুসলিমদের মুসলমানিত্ব নষ্ট করাই কাফিরদের প্রধান টার্গেট

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
 “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশররিকদেরকে।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
اَلْكُفْرُ مَلَّةٌ وَّاحِدٌ
অর্থ: সমস্ত কাফিরের ধর্ম এক (একদল)। অর্থাৎ পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, সমস্ত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদী, মুশরিক তথা সমস্ত কাফিররা। আমরা ঠিক তার বাস্তব প্রমাণ পাচ্ছি যে, ইহুদী, মুশরিক তারা মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নষ্ট করে দেওয়ার জন্য কঠোরভাবে কোশেশ করে যাচ্ছে, এমনকি মুসলমানদের মন-মস্তিষ্ক ও মগজ প্রভাবিত করে যাচ্ছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের একটিই কারণ, তা হলো: ১২৭০ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সে কাফিরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু তারা কিছুতেই মুসলমানদের সঙ্গে বিজয়ী হতে পারছিল না। তখনকার সময় ফ্রান্সের শাসক ছিল লুইস। সে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মারা যাওয়ার সময় একটি ওসীয়তনামা লিখে যায়। সেখানে লিখিত ছিল, সে বলেছিল “আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ যুদ্ধ করে যাচ্ছি এবং মুসলমানদেরকে পরাজিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছি। যুুদ্ধের ধারাবাহিকতা যুগ যুগ ধরে চলছিল। কিন্তু কিছুতেই আমরা বিজয়ী হতে পারছি না। কারণ মুসলমানদের উপর আমরা আক্রমন করার পর আমরা তাদের মধ্যে এমন ঈমানী চেতনা জ্বলে ওঠতে দেখলাম যাতে তাদের প্রতিরোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাদের এই চেতনা যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে অন্য উপায়- উপকরণ গ্রহণ করা উচিত। আর তার কৌশল একটাই তাহলো, মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নষ্ট করা, মন-মস্তিষ্ক ও মগজ প্রভাবিত করা এবং একে অপরের মধ্যে অনৈক্য ও বিভক্তির বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দেয়া।” নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! 
লুইসের এই ওসীয়তনামাটি আজও প্যারিসে সংরক্ষিত আছে। কাফির-মুশরিকরা তার এই ওসীয়তনামাটি অনুসরন করে যাচ্ছে। মুসলমানদের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা এমনভাবে সূক্ষ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যে মুসলমানরা যেন সেটা বুঝে উঠতে সক্ষম না হয়। তাদের এই সূক্ষ¥ ষড়যন্ত্রের একটি হলো ছবি তোলা, আঁকা। এমনকি আমরা যেখানে-সেখানে প্রতিটি জিনিসপত্রের গায়ে যেমন, শিশুদের পোশাকে, পানির বোতলে, যেকোন খাবারের প্যাকেটে, ঘরের যে কোন জিনিসের মধ্যেই ছবি দেখতে পাই। যেখানে ছবি থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাশরীফ মুবারক আনেন না। অর্থ্যৎ রহমত সেই ঘরে নাযিল হয় না। কাফির-মুশরিকরাতো চায় মুসলমানরা রহমত থেকে যেন বঞ্চিত থাকে। অর্থ্যৎ ধীরে ধীরে যেন গোমরাহীর দিকে ধাবিত হয়। নাউযুবিল্লাহ! 
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম খাছ করে যামানার মুজাদ্দিদ হযরত আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের মুবারক উসীলায় কাফিরদের শয়তানী ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকার এবং তাদের শয়তানী ষড়যন্ত্র বুঝার তাওফীক্ব দান করেন এবং প্রত্যেক মুসলমান আমরা যেন আমাদের মুসলমানিত্ব বজায় রেখে ঈমানী চেতনায় বলিয়ান থাকতে পারি সেই তাওফীক দান করেন। (আমীন)

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট